দূর্নীতি ও কোটা সংস্কার আন্দোলন-Corruption and quota reform movement

 দূর্নীতি ও কোটা সংস্কার আন্দোলন-আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা  দূর্নীতি ও কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে।নিম্নে বিস্তাড়িত আলোচনা করা হলো


দূর্নীতি ও কোটা সংস্কার আন্দোলন-Corruption and quota reform movement

সূচনা ঃ সম্প্রতি দেশের সরকার ও প্রশাসনে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্টানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দূর্নীতির যে ভয়াল চিত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রায় প্রতিদিন হচ্ছে, তা কল্পনাকেও হার মানায়।সেই সাথে বিসিএস ও পিএসসির বিভিন্ন পরিক্ষায় প্রশ্নপ্ত্র ফাঁস জালিয়াতিতে ড্রাইভার সহ ১৭ জন কর্মকর্তা এবং খোদ প্রধানমন্তীর দফতরের জনৈক কর্মচারী শত শত কোটি টাকার সম্পদের হিসাব হ্রদকম্পন ধরিয়েছে দেশের সচেতন নাগরিকদের ।যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সাম্প্রতিক কোটা বাতিল বা সংস্কার আন্দোলনে

  • দূনীতি ও কোটা ঃ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নিতে সরকারি চাকুরিতে কোটা রাখা হয়।কিন্তু এটি চিরন্তন কোন ব্যবস্থা নয়।আর সরকারি চাকুরিতে যে কোটা ব্যবস্থা রয়েছে,তা কোন জুক্তিসম্মত বিষয় এর উপর প্রতিষ্ঠিএ নয়।বিশেষত আমাদেরর দেখের বিষয় হলো বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা কোটা ।প্রশ্ন হল প্রকূত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত? তাদের সনদ দিতে গেলেও সনদ নেয়নি।বরং তারা পরিষ্কার বলেছে আমরা স্বাধিনতার জন্য যুদ্ধ করেছি ,সনদ এর জন্য নয়।সম্প্রিতি এক মুক্তিযোদ্ধা বলেছে ,মুক্তিযোদ্ধার সংখা ৮০ হাজারের বেশি নয়।অথচ আমরা শুনতে পাই মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যার সরকারি হিসেবে আড়াই লক্ষ।আবার ক্ষুদ্র নূ গোষ্ঠির ক্ষেত্রেও একই রকম বৈষম্য দেখা যায়। যেখানে সকল ক্ষুদ্র নূ গোষ্ঠি কোটা পাওয়ার কথা সেখানে শুধু মাত্র চাকমারাই কোটা পেয়ে থাকে। আবার নূ গোষ্ঠি মুসলমান রা কোনো কোটার অন্তভূক্ত নয় যা নিঃসন্দেহে অবিচার।
  • প্রথম শ্রণি,দ্বিতীয় শ্রণি ও প্রথমিক বিদ্যলয়ে চাকুরির ক্ষেত্রে কোটাঃ বর্ত্মানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রণীতে মোট কোটার পরিমান ৫৬ শতাংশ। প্রথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরির ক্ষেত্রে মোট কোটার পরিমান ৯৬ শতাংশ।বাকি ক্ষুদ্র যতটুকু আছে,তাতেও টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁসের অনৈতিক ব্যবসা।
  • দূর্নীতির কারনঃ মেধাবীরা মুল্যয়ন না পাওয়ায় সরকার ও প্রশাসনের সকল স্থরে অদক্ষ ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দিয়ে ছেয়ে গেছে। তারা সকল ক্ষেত্রে দূর্নীতি করছে ।দেশের মানুষ ও দেশের চরম ক্ষতি করছে। এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারনে দেশের সকল প্রশাসনিক স্থর দূর্নীতির চাদরে ডেকে পড়েছে।
  • বর্তমান সাধারন জনগনের মতঃবর্তমান কোটা আন্দোলন দল -মত নির্বিশেষে সকল মানুষের হ্রদয় কেড়েছে।কেননে এটিকে তারা দূর্নীতি দমন ও মেধাহীনদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য  আন্দোলন হিসেবে গ্রহন করেছে।অপর দিকে  আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকারের অদূরদর্শী ও বালখিল্য পদক্ষেপ আমাদেরকে হতবাক করেছে।আলোচনার টেবিলে বসেই সমস্যা সমাধান সম্ভব ছিল,সেখানে অনর্থক বিতর্ক করে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষেপিয়ে পুরোদেশ কে অচল করে দেওয়া কোন দায়িত্বশীল কাজ হয় নি।
পরিশেষেঃ আমরা জোড়ালো দাবি জানাই,কোটা কোন চিরস্থায়ী ব্যবস্থা নয়। যদি রাখতেই হয় তবে সেটা যেন ১০ শতাংশের বেশি না হয়।মেধাবি ও দূর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে এর কোন বিকল্প নাই।আল্লাহ আমদের দেশ ও সমাজকে সকল প্রকার দূর্নিতি ও বৈষম্য হতে রক্ষা করুক -আমীন

Next Post Previous Post