ভারতকে রেল ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ কি পাবে?- ২০২৪-What will Bangladesh get by giving rail transit facility to India?- 2024

 ভারতকে রেল ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ কি পাবে?-আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ঘটনা ভারতকে বাংলাদেশের রেল ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া সম্পর্কে।নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো...

রেল ট্রানজিট



সূচনাঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সম্প্রতি যে ১০ টি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছিল,তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো রেল ট্রানজিট।এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের এক অংশ থেকে আরেক অংশে রেল যোগে সরাসরি মালামাল পরিবহনের সুবিধা পাবে ভারত।

ভারতের রেল ট্রানজিটের কারনঃ ভৌগলিক অবস্থানের কারনে উত্তর-পূর্বাঞ্চালের রাজ্যগুলো থেকে পন্য ও মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হয় ভারতকে। মাঝখানে বাংলাদেশ থাকায় দেশের অন্য অংশের সাথে রাজ্যগুলোর পন্য পরিবহন বেশ ব্যায়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। সেই কারনে অনেক আগে থেকেই পন্য ট্রানজিট সুবিধা চেয়ে আসছিল ভারত।কয়েক বছর আগে ট্রানজিট দেয়া হলেও নতন চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে সরাসরি মালামাল পরিবহন করতে পারবে ভারত।


ভারতকে এই ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে কি পাবে বাংলাদেশ?ঃভারত বা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নতুন ট্রানজিট চুক্তি,শর্ত,মাশুল,অর্থায়ন কিংবা অন্য কোন বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

তবে এখন পর্জন্ত প্রকাশিত তথ্য ও ট্রানজিটের অতীত অবিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের  লাভের বিষয়ে খুব  একটা আশাবাদি হতে পারছেনা বিশ্লেষকরা।সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন,অতীত অবিজ্ঞতা থেকে বলা যায় যে,  নতুন এই চুক্তির বিনিময়ে বাংলাদেশ তেমন কিছু পাবে না।

২০১০ সালের ট্রানজিট চুক্তি সই এর পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা বলা হয়েছিল ,বছরে প্রায় ৫০০মিলিয়ন ডলারের মতো লাভ হবে।কিন্তু আদৌ কি কনো মিলিয়ন ডলার লাভ হয়েছে?কারন সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মাশুল পায় মাত্র ৩০০ টাকার মতো।

তবে অনেকে আশা করেন যে, অতীতে না পারলেও বর্তমানে নতুন চুক্তির মাধ্যমে মাশুলের হার বাড়ানোর একটি উপায় তৈরি হয়েছে।কারন বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পন্য আনা নেওয়ার ফলে আগের তুলনায় ভারতের পন্য পরিবহন ব্যয় অনেক কমে আসবে।


বাংলাদেশের জন্য হুমকি কিনা?ঃট্রানজিট দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি কিনা সে ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন,ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চালের যেসব রাজ্যগুলোর মধ্য দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেসব অভিযানে ভারত হয়তো এই রেল পথ ব্যবহার করতে চাইবে।এসব রাজ্যে অতীতে ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে ভারত সিমান্তে বিভিন্ন সময়ে সংঘাত দেখা দিয়েছে।এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ভারত অবশ্যই এসব ট্রানজিট রুট ব্যবহার করতে চাইবে। এবং সেটিই দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের জন্য দূশ্চিন্তার বড় কারন হতে পারে।


বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ক হুমকির মুখে পরতে পারেঃভারতে এ ধরনের ট্রানজিট দেয়ার বিষয়টি চীন কিভাবে নেয় সেটির উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।বাংলাদেশ এতদিন ব্যালান্স সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। এখন ভারতকে সরাসরি ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার বিষয়টি চীন যদি ভালো ভাবে না নেয়,তাহলে অনেক কিছুই হতে পারে।
রেল ট্রানজিট


পরিশেষেঃ আমাদের সরকার কে অবশ্যই এ চুক্তির বিষয়ে আরো শর্তক হতে হবে।বিবেচ্চ বিষয় গুলো  আরো আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জাতে দেশ ও দেশের জনগন কনো হুমকির মুখে না পরে।

Next Post Previous Post