সাপে কাটলে যে ভুল গুলো মোটেও করা যাবে না -২০২৪ /সাপে কাটলে করণীয় কি

সাপে কাটলে যে ভুল গুলো মোটেও করা যাবে না-২০২৪।আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো বর্তমান সময়ে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অধিক গুরুত্বপূর্ন ঘটনা সাপের কামড় সম্পর্কে।নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো


সাপের কামড়


সূচ্নাঃ গ্রামঞ্চলে সব সময় কম বেশি সাপের আতংক থাকে। বর্ষা মৌসমে এটি আরও বেড়ে যায়।এ সময় যারা বনে -পাহাড়ে ঘুরতে জান,তাদেরও সাপে কামড়াতে পারে। শহরে বিচ্ছিন্ন ভাবে সাপে কাটার রোগীকে পাওয়া যায়। সাপে কাটলে বেশির ভাগ মানুষ ঘাবড়ে জান।ভয় কাজ করলেও এ সময় মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া দরকার।

সাপে কামড়ালে যা যা করবেন নাঃ

  • সাপে কামড়ালে একটি ভুল ধারনার বশবর্তী হয়ে অনেকে প্রথমেই কামড়ের  স্থানে শক্ত বাঁধন বা গিট দিয়ে ফেলেন। এর পিছনে ধারনা হলো, বিষ যাতে ছড়িয়ে পরতে না পারে। আসলে এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।বরং এ রকম শক্ত করে বেধে ফেলায় জায়গাটিতে রক্ত চলাচলে বাধার সূষ্টি হয়।আর রক্ত চলাচলের অভাবে টিস্যুতে পচন ধরতে পারে।
  • অনেকে কামড়ানো স্থানে ব্লেড বা ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করেন।তার পর সেখানে চিপে চিপে  রক্ত বের করার চেষ্টা করেন।বিষ বের করার জন্য এ রকমটি করেন বলে তারা মনে করেন। এ রকম অস্বাস্থ্যভাবে কাটাকাটি করার জন্য ইনফেকশন হতে পারে ।ফলে জটিল আকার ধারন করতে পারে।
  • অনেকের ধারনা,কাড়ানো স্থানে মুখ দিয়ে চুষে বিষ বের করে দিলে রোগীকে সুস্থ হয়ে জাবে।এরও কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। সাপের বিষ একবার শরিরে প্রবেশ করলে তা রক্ত বা লসিকার মাধ্যমে সম্পূর্ন দেহে ছড়িয়ে পরে।সেটি চুষে বের করা সম্ভব নয়।কোন অবস্থাতেই আক্রান্ত স্থানে মুখ দেওয়া উচিত নয়। বরং যিনি মুখ দেবেন,তাঁর ক্ষতি হবে।
  • গ্রামাঞ্চলে সাপে কামড়লে প্রথমেই আক্রান্ত ব্যাক্তিকে ওঝা বা সাপুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।তারা যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করেন,তার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।ফলে মূত্যর ঝুকি বাড়ে।অনেক সময় দেখা যায়, তারা ভেষজ ঔষুধ,লালা,পাথর ,গোবর  ইত্যাদি  ব্যবহার করে। কেউ কেউ বমি করানোর চে|ষ্টা করে। এতে রগীর অবস্থা কেবল অবনতি হয়।
সাপের কামড়


সাপে কামড়ালে যা যা করবেনঃ

  1. প্রথমে আক্রান্ত ব্যাক্তি কে আশ্বত করতে হবে।তাকে সাহস দিতে হবে।বৈজ্ঞানিক গবেষনায় দেখা দিয়েছে কেবল ভয়ের কারনে অধিকাংশ সাপে কাটা রোগীকে মারা যায় ।যাকে বলে কার্ডিয়াক অরেস্ট।মানসিক আতংকে মারা যেতে পারে।আবার এমন হতে পারে সাপ শরীরে বিষ না ডুকিয়ে দিতে পারে।একারনে ভয় না পেয়ে জরুরি চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।
  2. আক্রান্ত স্থানে সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে। ভেজা কাপর দিয়ে আলতোভাবে  মুছতে হবে।
  3. আক্রান্ত অজ্ঞ অবশ্যই স্থির রাখতে হবে।বেশি নড়াচড়া যেন না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।আক্রান্ত অজ্ঞ ব্যান্ডেজের মাধ্যমে  একটু চাপ দিয়ে পেঁচাতে হবে। ত্বকের সাথে শক্ত ভাবে লেগে থাকা জিনিস খুলে ফেলতে হবে ।কারন সেগুলো রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
  4. কোন সাপ কামড় দিয়েছে সেটা জানা বেশি জুরুরি।কিছু লক্ষন দেখলে বোঝা জায়,সাপটি বিষধর কি না ।সে ক্ষেত্রে মরা সাপ টি সংজ্ঞে করে নিয়ে আসা উচিত। সাপটি বিষধর কিনা যাতে ডাক্তার দেখে চিনতে পারে ।এবং সেই অনুযায়ী  চিকিৎসা দিতে পারে।
  5. রোগীকে আধাশোয়া  অবস্থায় রাখা ভালো। রোগী শ্বাস না নিলে মুখ দিয়ে শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিষেশেঃ যত তারাতারি সম্ভব রোগীকে ডাক্তার এর কাসে নিয়ে আস্তে হবে।ভয় থেকে দূরে থাকতে হবে।সাহসী হতে হবে।সঠিক  চিকিৎসা নিতে হবে।কুসস্কার থেকে বিরত থাকতে হবে।সাবধানে থাকতে হবে।
আরো পরুনঃ
Next Post Previous Post