দুধ চায়ের বদলে যেসব স্বাস্থ্যকর চা পান করবেন/দুধ চা পানের অপকারিতা-২০২৪
দুধ চায়ের বদলে যেসব স্বাস্থ্যকর চা পান করবেন/দুধ চা পানের অপকারিতা-২০২৪। আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো কিছু স্বাস্থ্যকর চা পানের কথা এবং দুধ চা পানের অপকারিতা সম্পর্কে।
সূচনাঃ বিশ্বজুড়ে যেসব চা জনপ্রিয়,তার মধ্যে চা অন্যতম।ছোট বড় সবার পছন্দের পানীয় এটি।বিশ্বে নানা রকম চা উতপাদিত হয়। বিভিন্ন উপায়ে চা প্রক্রিয়াজাত করা হয়,যার নির্ভর করে এর গুনাগুন।সকালবেলা দুধ চা দিয়ে অনেকের দিন শুরু হয়।বেশি করে দুধ চিনি দেওয়া চা না পান করলে যেন দিনই ভালো কাটবে না।কিন্তু এই অভ্যাসের পিছনে যে ক্ষতি রয়েছে এ কথা অনেকেই জানেন না। তাই জড়তা কাটাতে দুধ চায়ের বিকল্প চা বেছে নিতে হবে।
প্রথমে আমরা জানবো কিছু স্বাস্থ্যকর চা সম্পর্কেঃ
- রং চাঃ রং চা লাল চা পান করলে শরীর আর্দ্র থাকে।লাল চায়ের মাধ্যমে প্রচুর উপকারি রাসায়নিক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে। এসকল উপাদান শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে।ফলে হাড় সতেজ থাকে,মন ভালো থাকে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।বর্তমানে অনেকেই এন্টি অক্সিডেন্টের জন্যে গ্রিন টি-এর শরণাপন্ন হন।গ্রিন টি এর মধ্যে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে।কিন্তু লাল চা কোন অংশেই কম না। বিশেষত নিয়মিত লাল চা পান করলে কোলেস্টেরল,ডায়াবেটিস এবং প্রেসারের রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেক টুকু হ্রাস পায়।
- পুদিনা চাঃনিয়মিত চায়ে খেতে পারেন পুদিনার চা।এতে পেটের অনেক সমস্যাই
কমে যাবে।দূর হবে ক্লান্তি ও মাথা ব্যাথা। পানি গরম করে কয়েকটা পুদিনা পাতা কেটে মিনিট
১৫ ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এই চা খেলে নিমিষেই দূর হয়ে যাবে যে কোন রকমের শারীরিক ও মানুসিক
ক্লান্তি।
- দারুচিনি চাঃঅতিরিক্ত মেদ কমাতে খেতে পারেন দারুচিনি চা। পানি গরম করে দারুচিনি গুঁড়ো, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। তারপর তা ছেকে নিন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টি-অক্সিড্যান্ট, যা বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে বাঁচাতে সহায়তা করে।
- তুলসি চাঃসর্দি,কাশি,জ্বরে ভুগে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বিগড়ে যায়। তবে শরীরকে যদি এসবের মধ্যে থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে তুলসি পাতার চা পান করা অত্যন্ত উপকারি।এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যাডাপটোজেনিক ও এন্টি অক্সিডেন্টের প্রভাব। একটি পাত্রেপানি গরম করে তাতে তুলসি পাতা ফুটিয়ে নিন।তারপর মধু ও লেবু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয় তুলসি চা। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সহয়তা করে। ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত তুলসি চা খান, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্তণে রাখে ।
দুধ চা পানের অপকারিতাঃ
- দুধ চা নিয়মিত পান করলে, তা পেট ফাঁপা বা ব্লোটিংয়ের সমস্যা সৃষ্টি করে। এতে হজমের অসুবিধা হয়। এতেও পেটের ক্ষতি হতে থাকে।
- এই ধরনের চা টানা বহু বছর খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কারণ খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়।
- অনেকে ঘুম কাটানোর জন্য এই চা খান। কিন্তু জানেন কি এই চা স্ট্রেস বা উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা বাড়ায়। এতে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়।
- খুব অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু এই চা দিনের পর দিন খেলে ব্রণ ওঠার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। কারণ শরীর অম্ল হয়ে যায়। তাতেই বাড়ে ব্রণর প্রবণতা।
- সকালে বাথরুমের কাজ সারার জন্য অনেকেই চা পান করতে হয়। কিন্তু দুধ চা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে দিনের পর দিন এই চা সমস্যা বাড়াচ্ছে বই কমাচ্ছে না।
- এই ধরনের চা নিয়মিত খেলে, এর প্রতি একটি আসক্তি তৈরি হয়ে যায়। তখন এটি ছাড়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। সেই বিষয়েও সাবধান।
- দুধ চা বছরের পর বছর খেলে ঘুমের সমস্যাও হতে পারে। এতে অনিদ্রা জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে এই চা খাবেন না।
- যাঁদের রক্তচাপ উঠা-নামা করে, তাঁদের এই চা পান করা উচিত নয়। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।