সাইনোসাইটিস এর লক্ষণ কি/ সাইনোসাইটিস এর চিকিৎসা কি-২০২৪
সাইনোসাইটিস এর লক্ষণ কি/ সাইনোসাইটিস এর চিকিৎসা কি-২০২৪।আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো সাইনোসাইটিস কি, এই রোগের লক্ষন গুলো কি,এই রোগ হলে করনীয় কি এবং এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি কি ধরনের।
![]() |
leraningofficialbd |
ভূমিকাঃ
মুখমন্ডলের হাড়ের ভিতরে কতগুলো ফাঁকা
জায়গা রয়েছে, যাকে সাইনাস বলে।কোন কারণে সাইনাসগুলির মধ্যে ঘা বা কোন প্রকার
প্রদাহ হলে তাকে সাইনসাইটিস বলে।
লক্ষণ ও উপসর্গ ঃ সাইনোসাইটিস রোগ হলে অতি মাত্রায় মাথাব্যাথা হয়।এই ব্যাথায় চোখের নীচ ও কপাল বেশী আক্রান্ত হয়।ব্যথা নাকের গোড়ায়,উপরের চোয়ালের উপরে ও মাথার পিছনে যে কোন স্থানে হতে পারে।সকালে কম থাকে,দুপুরের দিকে ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায়।আবার বিকেলের দিকে কিছুটা কমে জায়।মাথা নাড়াচাড়া করলে,হাটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যাথার তীব্রতা আরো বেড়ে জায়,গাঁ ম্যারম্যারে ভাব,জ্বর জ্বর ভাব থাকে,কোন কিছুতেই ভালো লাগে না এবং অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়। নাক বন্ধ থাকে। পরিক্ষা করলে নাকের ভিতরে পুজ পাওয়া যেতে পারে। সাইনাস এর এক্স-রে করলে সাইনাস ঘোলাটে দেখাতে পারে।
সাইনাসের ইনফেকশনঃ নাকের এলার্জি থাকলে, হাড় বাকা থাকলে, নাকের ভিতরে অথবা বাইরে কিছু ঢুকলে, নাকের পেছনের টন্সিল বড় হলে,দাঁতের ইনফেকশন থেকে বা দাঁত তুলতে গেলেও সাইনাসে ইনফেকশন হতে পারে।সাইনাসের হাঁড় ফেটে গেলে এবং ময়লা পানিতে ঝাপ দিলে ঐ পানি সাইনাসের ভিতরে প্রবেশ করলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অপুষ্টি, আবহাওয়া দূষন এবং ঠান্ডা আবহাওয়াতে এই রোগ বেশী হয়।
সাইনোসাইটিস এর জটিলতাঃ সাইনাসগুলো চোখ ও ব্রেইনের পাশে থাকে বলে সাইনাসের ইনফেকশন হলে তা চোখ ও মস্তিকেও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমনঃ অরবিটাল সেলুলাইটিস এবং এবসের বা চোখের ভেতরের ইনফেকশন। মেনিনজাইটিস বা ব্রেইনের প্রদাহ। এক্সট্রাডুরাল বা সাবডুরাল এবসেস, অস্টিওমায়েলাইটিস (মাথার অস্থির প্রদাহ) , কেভেনাস সাইনাস থ্রম্বেসিস প্রভৃতি।তাই সাইনোসাইটিস এর কারণে চোখের ভিতরে ইনফেকশন ঢুকে চোখটি নষ্ট করে দিতে পারে,আবার মাথার অভ্যন্তরে ইনফেকশন ঢুকে মেনিনজাইটিস এমনকি মস্তিষ্ক এবসেসের মত মারাত্বক জটিল রোগ হতে পারে।
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ সাইনোসাটিস নির্ণয়ে শুধু মাত্র এক্স-রে করলেই এই রোগ নির্ণয় করা জায়।এই রোগের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাকের মধ্যে সাইনাসের বাইরের পথগুলো খুলে দেওয়ার মাধ্যমে সাইনাসের বাইরের পথগুলো সুগম রাখা এবং সাইনাসের ইনফকেশন নিয়ন্ত্রন করা।তাছাড়া ইনফেকশন জনিত ব্যথা থাকলে তা চিকিৎসার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব।তবে কোন কোন সময় যথাযথ অ্যান্টি বায়টিক এর প্রয়োজন হতে পারে।নাকের সমস্যা দূর করতে অ্যান্টি হিস্টাসিন জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।ঔষধে না কমলে অপারেশন লাগতে পারে।অপারেশন এর সময় সাইনাস পরিষ্কার করা হয়।বর্তমানে অপারেশন এর পরিবর্তে অয়ান্ডোস্কোপিক সার্জারি বা ফাংশনাল অয়ান্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি করা হয়। যা অধিক কার্জকর এবং রোগির ভোগান্তিও কম। যথা সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে বিভিন্ন জটিল সমস্যা হতে পারে।
পরিষেশে ঃ
এই রোগের মূল কারণ হলো ঠান্ডা লাগা বা অতিরিক্ত শীতল পরিবেশে থাকা। এই রোগ হলে শীতল
পরিবেশ পরিত্যাগ করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে অবহেলা করা যাবে না ।সঠিক চিকিৎসা গ্রহন
করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ