পালং শাকের পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন কি/পালং শাকের উপকারিতা-২০২৪

পালং শাকের পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন কি/পালং শাকের উপকারিতা-২০২৪।আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো পালং শাকের পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন কি এবং পালং শাক কিভাবে শরীরের ওজন ও ক্যান্সার ঝুকি কমায়।

পালং শাকের পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন কি/পালং শাকের উপকারিতা-২০২৪


ভূমিকাঃস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক থাকা জরুরী।কারণ এটা ছাড়া সুষম খাদ্যের শর্ত পূরন হয় না।আর পালং শাক থাকলে তো আরও ভাল হয়। কারণ পুষ্টিতে ভরপুর পালং শাক শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পালং শাকের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুনের কারনে এটি সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত।সবুজ পাতার এই শাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে পারে।পালং শাকে ভিটামিন ও মিনারেল আছে,এতে ক্যালরি কম থাকে।তাই ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় বেশি করে পালং শাক রাখা যায়। নিম্নে পালং শাকের ঔষুধিগুন ও পুষ্টিগুন সম্পর্কে আলোচনা করে হলো।

  • পালং শাকের পুষ্টিগুনঃ প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি,কার্বোহাইট্রেড .. গ্রাম, আঁশ . গ্রাম,চিনি . গ্রাম,প্রোটিন . গ্রাম,ভিটামিন৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম,বিটাকেরোটিন ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম,লিউটিন ফোলেট (বি ) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম,ভিটামিন সি ২৮ মি.গ্রাম ভিটামিন কে ৪৩৬ মাইক্রোগ্রাম,ক্যালসিয়াম ৯৯ মি.গ্রাম, আয়রন . মি.গ্রাম।

পালং শাক খাদ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২০% পূরণ করার সজ্ঞে সজ্ঞে ভিটামিন কে-এর দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।এতে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন ,ভিটামিন সি,ভিটামিন , আয়রন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম,ম্যাজ্ঞানিজ,জিংক,ফলিক এসিড, সেলেনিয়াম রয়েছে। ওজন কমানোর পাশাপাশি পালং শাকে আর কি কি ঔষধিগুন বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

  1. ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ পালং শাকে রয়েছে ১০ টির বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।এই পলিনিউট্রিয়েন্টসগুলো দেহের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল নিরপেক্ষ করে।
  2. রক্ত চাপ কমায়ঃ পালং শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম।এটা উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  3. চখের সমস্যা সমাধানেঃ চোখের সুরক্ষায় সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা দৃষ্টি শক্তি ক্ষতি বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধ করতে সাহায্য করে।পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন যা চোখের ছানি পরার ঝুকি কমায়।
  4. ত্বকের সুরক্ষাঃপালং শাকে থাকা ভিটামিন ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এটা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রন, বলি রেখা পরা ইত্যাদি দূরিকরণেও বেশ কার্জকর।
  5. ক্লান্তি দূরঃপালং শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়া এতে রয়েছে লিস্ফোবিক এসিড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।এটা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।
  6. প্রদাহ বিরোধীঃ যাদের জয়েন্টে ব্যাথা আছে তারা অবশ্যই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এই শাক রাখলে উপকার পাবেন।
  7. হৃদ রোগের ঝুকি কমায়ঃ এই শাকে থাকা ফলিক এসিড সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পালং শাকে অধিক মাত্রায় ভিটামিন ,লিস্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কনিকা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

পরিশেষেঃ আমরা উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে পালং  শাক আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুতেপূর্ণ। এটি মরনবেধী ক্যান্সার সহ আরো অনেক রোগের ঝুকি কমায়।তাই আমদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় এই শাক রাখা উচিত। সেই সাথে আরো অন্য অন্য সবজি বেশি করে খাওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ

সকালে নাশতায় ফল খাওয়ার উপকারিতা

রাতের খাবার যখন খাবেন

চিকন হওয়ার কিছু সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়

Next Post Previous Post