আমলকীর পুষ্টিগুন, ঔষধিগুন ও উপকারিতা কি/যে ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন থাকে-২০২৪
আমলকীর পুষ্টিগুন, ঔষধিগুন ও উপকারিতা কি/যে ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন থাকে-২০২৪। আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো আমলকীর ঔষধিগুন, পুষ্টিগুন ও উপকারিতা কি-এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমলকীয় ভূমিকা কি।
ভূমিকাঃ আমলকী পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল।টক স্বাদের এই ফলটিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে থাকা খনিজ ও ভিটামিন শরীরের জন্য শুধু উপকারি নয়; বরং এটি নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধেও বেশ কার্জকারি।
আয়ুবের্দিক চিকিৎসায় আমলকীর নানা ব্যবহার রয়েছে।চুল থেকে শুরু করে ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো-সবকিছুর জন্যই আমলকী উপকারি।
চলুন দেখে নেই আওমলকীর পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন গুলো কি কিঃ
গবেষণায় দেখা গেছে,আমলকীতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এই ফ্রি রেডিকেলের কারনে নানা ধরনের অসুখ যেমন - ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, আর্থাইটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ,লিভারের সমস্যা ইত্যাদি দেখা যায়।
আমলকীতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি এবং খুব বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। আয়ুবের্দিক চিকিৎসা অনুযায়ী নিয়মিত আমলকী খেলে বিপাক্ক্রিয়া বাড়ে। ফলে ওজন কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমলকীতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে।প্রতিদিন আমলকী খেলে রক্তে শরর্কার পরিমাণ কমে যায়। নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া ২০১১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিস থাকুক আর না থাকুক যারা নিয়মিত আমলকীর গুড়া খান, সবসময়ই তাদের দেহে শরর্কার পরিমাণ কম থাকে।
গবেষকদের মতে,যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা প্রতিদিন মাত্র একটা করে আমলকী খেলে তাদের রক্তে শরর্কার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে থাকবে। যদিও খুব টক বা বিস্বাদ লাগে তাহলে আমলকী খাওয়ার পরই এক গ্লাস পানি পান করলে মুখে একধরনের মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। এছাড়াও আমলকীর গুড়া ঘরে রেখে প্রতিদিন পানিতে মিশিয়ে খেলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা যায়।আমলকীর জুস করেও খাওয়া যেতে পারে। এটিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে দারুন কার্জকরী।
শেষকথাঃ ডায়াবেটিস একটি মরনবেধি রোগ এ পরিনত হয়েছে।এই রোগ থেকে বাঁচার কোন সুনির্দিষ্ট পথ এখন বের হয় নি। এটি কেবল নিয়ন্ত্রন করা যায়। এটি থেকে বাঁচতে গেলে অবশ্যই এটি থেকে আমাদের সর্তক থাকতে হবে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি আমরা যদি প্রাকৃতিক উপায়ে এটি নিয়ন্ত্রন করতে পারি।প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রন করতে সবচেয়ে ভাল উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই উপকারি ও ঔষধিগুন সম্পূর্ন ফল আমলকী।
আরো পড়ুনঃ