দলীল যার জমি তার আইন পাশ- ২০২৩/দলীল যার, জমি তার বিল পাশ হল সংসদে-২০২৪

 দলীল যার জমি তার আইন পাশ -২০২৩/দলীল যার, জমি তার বিল পাশ হল সংসদে-২০২৪।আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো দলীল যার জমি তার আইন ২০২৩ সম্পর্কে।

দলীল যার জমি তার আইন পাশ ২০২৩/দলীল যার, জমি তার বিল পাশ হল সংসদে-২০২৪


দখলে থাকলেই মালিক নয়,থাকতে হবে দলীল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এক্ষেত্রে বৈধ দলীল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোন ব্যাক্তি কোন ভূমি দখলে রাখতে পারবে না।পাশাপাশি মিথ্যা দলীল করলে সাত বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ডের আদেশ বা বিধান হয়েছে। এমন বিধান রেখে সম্প্রতি সংসদে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল ২০২৩ পাশ হয়েছে।

ভূমি আইন ২০২৩ এর গুরুত্বপূর্ন বিষয় গুলো হলোঃ

  1. ভূমি নিয়ে প্রতারণা বা জালিয়াতি করলে সর্বচ্চো সাজা ৭ বছর।এখন থেকে জালিয়াতি ও প্রতারণা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গন্য হবে।
  2. ভূমি সংক্রান্ত যে কোন বিচার ১৮০ কার্জদিবসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে।
  3. অন্যের জমি নিজের বলে প্রতারণা,তথ্য গোপন করে অন্যের কাছে হস্তান্তর-এমন অপরাধ ফৌজদারি অপরাধ বলে গন্য হবে। যার সর্বচ্চো সাজা ৭ বছর এবং জামিন অযোগ্য।
  4. অধিকাংশ বিচার প্রথম শ্রেনির ম্যাজিস্ট্রেট আর বিভাগীয় কমিশনার নিষ্পত্তি করবেন।এছাড়াও অন্য অপরাধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট বিচার করবেন।সাজা সর্বচ্চো ২ বছর।
  5. কোন ব্যাক্তি ৬০ বিঘার বেশি জমি মালিকানায় রাখতে পারবে না।উওরাধিকার সূত্রে যাদের এর চেয়েও বেশি আছে, ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরকার বাকি জমি নিয়ে নিবে।
  6. সরকার বেদখল্কৃত জমি,সরকার যখন মনে করবে তখনই দখল মুক্ত করতে পারবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ বসতবাড়ির বা জমি-জমা এধনের আইন চালু ছিল। তা হল যদি কোন ব্যাক্তি একটানা ১২ বছর তার বাড়ি বা জমিতে না থাকে বা দখলে না থাকে এবং সেই বাড়িতে সে ব্যাক্তি বসবাস করে বা দেখভাল করে, রক্ষানাবেক্ষণ করে, ১২ বছর পর দখলদার বা দেখভালকারি ব্যাক্তি ঐ জমির মালিকানা দাবি করতে পারবে।এসব আইন এখন থেকে বাতিল বলে গন্য হবে।

এ ব্যাপারে ভূমিমন্ত্রি বলেন, অনেকটা ঝুকিনিয়ে ভূমি আইন ঠিক করেছি।কারন অনেকেই বলেছিল যে এটাতে (ভূমি আইন) হাত দিলে  হাত পুড়েও যেতে পারে।কারন এটি খুব সেনসিটিভ বিষয় । আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা জাতিকে একটি সুন্দর বিল উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি।এটা আসলে প্রয়োজন ছিল।

শেষকথা,

অবশেষে আমরা বলে পারি এই বিল সাধারন নিপিড়িত জনগনের বিল। এই বিলের কারনে হাজারো নিপিড়িত মানুষ তাদের শেষ ঠিকানা খুজে পাবে।আমরা আশা করি এ রকম আরো অনেক বিল পাস হবে, যাতে আপামর জন সাধারন উপকৃত হয়।

আরো পড়ুনঃ

দূর্নীতি ও কোটা সংস্কার আন্দোলন

Next Post Previous Post