সকালে নাশতায় ফল খাওয়ার উপকারিতা/ সকালে নাশতায় যা খাওয়া উচিত-২০২৪

 সকালে নাশতায় ফল খাওয়ার উপকারিতা/ সকালে নাশতায় যা খাওয়া উচিত-২০২৪।আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো সকালে নাশতার সাথে ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

সকালে নাশতায় ফল খাওয়ার উপকারিতা/ সকালে নাশতায় যা খাওয়া উচিত-২০২৪

ভূমিকাঃ সকালে নাশতায় ফল খেলে তা মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত করে, ওজন কমাতে সহায়তা করে আর হজমশক্তি বাড়ায়।তাই সালাদ বা ফল দিয়ে হোক দিন শুরু।সকালের নাশতায় ফল রাখার কথা সব সময়ই বলেন পুষ্টিবিদরা।দিনের প্রথম খাবারটি ফলের সালাদ বা স্মুদি হতে পারে। ওটস বা ছাতুতে মিশিয়ে  খাওয়া যায় ফল।আবার এমনিতে আস্ত ফল খেয়ে দিন শুরু করা যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে খুব অম্লীয় আর টক ফল না বেছে নেওয়াই ভালো।পাকাপেঁপে,নাশপাতি,আপেল,তরমুজ,কলা,পেয়েরা,সফেদা,ডালিম,আনারস,গাব ইত্যাদি রাখা যায়। সকালে ফল দিয়ে দিন শুরু করার সুবিধা গুলো নিম্নেরূপঃ

·      ডিটক্সের হার বাড়েঃ সকাল ৭টা-বেলা ১১টার মধ্যে শরীরকে ডিটক্স বা বর্জ্যমুক্ত করার কাজগুলো সবচেয়ে সক্রিয়ভাবে হয়।সকালে উঠে ফল খেলে তা দ্রুত শক্তি জোগাবে এ প্রক্রিয়ায়।অপরদিকে এ সময় ভারী খাবার খেলে হয় উল্টোটা।

·      বিপাকীয় প্রক্রিয়া দ্রুত ঘটেঃ দিনের প্রথমেই শরীরে যে খাবার প্রবেশ করে, তা হজম করা সহজ হলে শরীরের জন্য ভালো।এদিকে ফল খুবই উপজোগি।এটি পরবর্তি কয়েক ঘন্টা বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়।প্রাকৃতিক ফ্ররুকটোজ জাতীয় চিনি এতে সহায়ক ভূমিকা করে।

·     হজমে সাহায্য করেঃসকালের নাশতায় ফল খেলে মিলবে বিভিন্ন মূল্যবান এনজাইম।সেই সজ্ঞে পাওয়া যায় আঁশ আর প্রিবায়োটিক্স, যা আমাদের শরীরের পরিপাকতন্তের পাচক রস নিঃসরণে উদ্দিপনা জাগায়।এতে আগের দিনের জমে থাকা খাবার হজম হয়ে বেরিয়ে যায় সহজে।ফলের আঁশ আমাদের কোলন বা মলদ্বারকে পরিষ্কার রাখে।কোষ্ঠ পরিষ্কার হওয়ায় সারাদিন হালকা লাগে,খেতে রুচি বাড়ে।

·    দেহ-মনকে জাগিয়ে তোলেঃ ঘুম থেকে উঠেই ফলের প্রাকৃতিক চিনি পেলে শরীরে চনমনে ভাব জাগে।আর এই অনূভূতি চা কফির মতো ক্ষনস্থায়ী হয় না। মস্তিষ্কের স্থবিরতা কাটিয়ে কর্মশক্তি পেতে সকালে উঠেই ফল খাওয়ার বিকল্প নাই।

·    ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ফল থেকে পাওয়া যায় ভরপুর পুষ্ঠি।আমাদের অন্ত্র থেকে টক্সিন দূর করতেও সহায়ক হয় ফল।আর সকালেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তা শরীরকে সুস্থতার পথে এগিয়ে রাখে সব সময়। ফল খেলে পেট ভরে কম ক্যালরিতে।এতে ফ্যাট নেই বললেই চলে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রন করতে ফল আবশ্যক।

·    রোগ  প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করেঃ ফলের ভিটামিন, মিনারেল আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত উপকারি। বলা হয়, যে মৌসুমের যে মৌসুমি ফল, তাতেই সে সময়ের রোগ-বালাইয়ের প্রতিষেধক থাকে।তাই ঘুম থেকে উঠেই ফল খেয়ে দিন শুরু করলে সংক্রামক রোগের প্রকোপ কম হয়।

সব সময় এমনি কেটে বা আস্ত ফল খেতে বা স্মুদি পান করতে একঘেয়ে লাগলে বিভিন্ন রকমের মজাদার সালাদ খাওয়া যায় অনায়াসে। ঘুম থেকে উঠে এমন বর্ণিল নাশতা খেলে আপনার দেহমন উদ্দিপ্ত হতে বাধ্য।

 

পরিষেশেঃ বর্তমান আমাদের শরীরের উপর বাড়তি নজর রাখতে হবে। কেননা রোগ বালাই সহ নানাবিদ সমস্যা বিরাজমান। তাই আমাদের খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। পুষ্ঠিমান হিসেব করে খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।শরীর ও মন সতেজ থাকবে।কর্মশক্তি বাড়বে ।তাই আমাদের খাবার এর সাথে ফলও রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

রাতের খাবার যখন খাবেন

দুধ চা পানের উপকারিতা কি

সাপে কাটলে করণীয় কি 

Next Post Previous Post