তীব্র গরমে স্বাস্থ্য সর্তকতা/তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে আমদের করণীয়-২০২৪
তীব্র গরমে স্বাস্থ্য সর্তকতা/তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে আমদের করণীয়-২০২৪।আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে হলে আমাদের কি কি সর্তকতা মেনে চলতে হবে।এবং সুস্থ থাকতে আমাদের কি করনীয় পালন করতে হবে।
ভূমিকাঃগত মাস
থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপ প্রবাহ। এই তীব্র গরমে অস্বস্তি সহ
স্বাস্থের উপরে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। পানি শুন্যতা দেখা দিতে পারে। মাথাব্যাথা,
দূর্বলতা, প্রসাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি পানিশূন্যতায় কিডনির
সমস্যা দেখা দিতে পারে। অসচেতনায় সবচেয়ে মারাত্বক সমস্যা হিটস্ট্রোকও দেখা দিতে
পারে।অতএব তাপপ্রবাহের সময় নিম্নোক্ত সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
অধিক গরম লাগা রোদে করণীয়ঃ
- সরাসরি রোদে যাওয়া থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকা।বিশেষত সকাল ১০/১১-টা থেকে বিকেল ৪-টা পর্জন্ত ।
- বদ্ধ ও জনাকীর্ণ পরিবেশ থেকে দূরে থাকা।
- গরম খাবার, ভাজাপোড়া,চা,কফি,বর্জন করা এবং খাবার পরিমিত খাওয়া।এতে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকতে সহায়ক হবে।
- খাদ্যগ্রহনের কমপক্ষে ৩০ মিনিট ফ্যানের নীচে থেকে তারপর বাইরে যাওয়া।
- ঢিলেঢালা, সাদা হালকা রঙের সুতি পোষাক পরিধান করা।
- মানসিক অবসাদ,টেনশন পরিহার করা। যেকোন কাজে তাড়াহুড়া বর্জন করা।
- সুযোগ থাকলে একাধিকবার ঠাণ্ডাপানিতে গোসল করা।
বাইরে গেলে করনীয়ঃ
- অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে।
- মাথায় টুপি/ক্যাপ,সানগ্লাস/রোদচশমা ব্যবহার করা।
- তৃষ্ণা না পেলেও পর্জায়ক্রমে পানি পান করে থাকতে হবে।
1. বাইরে থেকে বাসায় করণীয়ঃ
1.সাথে সাথে অতিরিক্ত পোশাক পরিবর্তন
করতে হবে।
2.পানি পান করতে হবে।
3.সরাসরি এসির বাতাসে যাওয়া যাবে না।
যাতে আবার ঠান্ডা লাগে সর্দি না হয়।
4.যাদের ত্বক তৈলাক্ত বিশেষত ব্রনের
সমস্যা আছে-তাদের ফেসওয়াস ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।অন্য সবার মুখে শীতল পানির
ঝাপটা নেওয়া উচিত।
ঘরে গরম কমাতে করণীয়ঃ
1. বাইরে বাতাস গরম হয়ে গেলেই রুমের
জানালা দরজা পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত,থাই গ্লাস গরম হয়ে গেলে ভেজা তোয়ালা/কাপড়
দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে। তবে বাতাস স্বাভাবিক থাকলে বিশেষত সকালে,সন্ধার পর থেকে
জানালা খোলা রেখে ঘরে পর্জাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
2. ছাদের নিচে কাপড় টাজ্ঞানো যেতে
পারে।ছাদে পানি ঢেলে ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
পানি শূন্যতা রোধে করণীয়ঃ
1. পর্জাপ্ত পানি পান করতে হবে- ওজন
৬০কেজির কম হলে ৯-১০ গ্লাস, ৬০কেজির বেশি হলে ১০-১২ গ্লাস।
2.এছাড়া স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তরমুজ,
ডাবের পানি,লেবু পানি/তরল খাবার খাওয়া যেতে পারে।
3.তেল- চর্বিজুক্ত খাবার পরিহার করা।
পানি পানে
বিশেষ সর্তকতাঃ বাইরে যাওয়ার ঠিক আগ মূহূর্তে বেশি পানি পান করা যাবে না।একসংজ্ঞে
সবর্চ্চো ২ গ্লাস এর বেশি পানি পান করা উচিত নয়।অতিরিক্ত ঠান্ডা/ফ্রিজের পানি সরাসরি
পান না করে স্বাভাবিক পানির সাথে মিশিয়ে হালকা শীতল পানি পান করা যেতে পারে।
কিডনি রোগ/হার্ট ফেইলর/ শরীরে পানি জমা থাকা রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি পান করা উচিত।সর্ব পরি সবাইকে সকল বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
চিকন হওয়ার কিছু সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়
পাত্রী নির্বচনে ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা