তীর্ব্র গরমে যে ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত/গরম সংক্রান্ত অসুস্থতা ও করণীয়-২০২৪

তীর্ব্র গরমে যে ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত/গরম সংক্রান্ত অসুস্থতা ও করণীয়-২০২৪।আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো তীর্ব্র গরমে যে ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন এবং তীর্ব্র গরম সংক্রান্ত অসুস্থতা ও  তাৎক্ষনিক করণীয় গুলো কি।

তীর্ব্র গরমে যে ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত/গরম সংক্রান্ত অসুস্থতা ও করণীয়-২০২৪


ভূমিকাঃগত মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপ প্রবাহ।এই তীব্র গরমে অস্বস্তি সহ স্বাস্থের উপরে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।  পানি শুন্যতা দেখা দিতে পারে। মাথাব্যাথা, দূর্বলতা, প্রসাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি পানিশূন্যতায় কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। অসচেতনায় সবচেয়ে মারাত্বক সমস্যা হিটস্ট্রোকও দেখা দিতে পারে।অতএব তাপপ্রবাহের সময় আমরা যে ধরনের খাবার খাবো এবং অসুস্থ হলে আমাদের তাৎক্ষনিক করণীয় গুলো কি কি হবে তা নিম্নোক্ত আলোচনায় আলোচনা করা হলো।

খাবার বিষয়ে কিছু পরামর্শ এবং সর্তকতাঃ

  • গরমে প্রচুর সবজি খাওয়া উচিত।শসা,ট্মেটো,ক্যাপসিকাম,লাউ,শাক পাতা খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।এতে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভবনা কমবে।
  • ফ্রিজের বাইরে রাখা খাবারের স্বাদ/গন্ধ পরিবর্তন হয়ে গেলে তা খাওয়া যাবে না।
  • নরমাল ফ্রিজে রাখলেও ২-৩ দিনের বেশি রেখে খাওয়া যাবে না।
  • ডায়রিয়া বা অন্য কারনে খাওয়ার জন্য ওরস্যালাইন প্রস্তুত করা হলে ৪ ঘন্টার বেশি সময় পরে তা খাওয়া উচিত না।
  • উচ্চ প্রোটিন ও তেল চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • বাইরের বিশেষত রাস্তার পাশের খোলা খাবার/শরবত পরিহার করতে হবে।

গরম সংক্রান্ত অসুস্থতা ও করণীয়ঃ

  • ঘামাচি রোধে করণীয়ঃশীতল পানিতে গোসল করে শরীরের গরম কমানো।অধিক গরম লাগার কাজ যথাসম্ভব পরিহার করা।সুতি কাপড় ভিজিয়ে শরীর মোছা যেতে পারে। ঘামাচির জন্য ভিবিন্ন পাউটার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • গরমে মাংসপেশির ব্যথা ও সংকোচনঃপায়ের মাংসপেশিতে সাধারনত ব্যথা হতে পারে।এসময় ওরস্যালাইন ও প্যারাসিটামল খেতে হবে।ম্যাসাজ করতে হবে।কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরিশ্রম করা যাবে না।প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়াঃ অবস্থা বেশি খারাপ না হলে শ্রীঘ্রই জ্ঞান ফিরে আসবে এমতাবস্থায় প্রেসার মাপে দেখতে হবে।ফ্যানের নিচে নিতে হবে।শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। স্যালাইন খাওয়াতে হবে।তাতেও অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • হিট স্টোকঃ প্রচন্ড তাপ প্রবাহের কারনে অনেকে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।এবং এক্ষেতে জ্ঞান স্বাভাবিক হবে না।একে বলে হিট স্ট্রোক।
লক্ষনঃ শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি বা এর থেকেও বেশে হতে পারে।আবার ক্লান্তি ভাব,ফ্যাকাসে হয়ে জাওয়া,চরম দূর্বলতা, অস্তিরতা।তারপর রোগী অচেতন হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক করণীয়ঃ

  1. প্রথমে অসুস্থ ব্যক্তিকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে চিত করে রাখতে হবে।জ্ঞান একদম না থাকলে কাত করে রাখতে হবে।এক্ষেত্রে ব্লাড সুগার মেপে দেখা উচিত।ব্লাড সুগার কমে যেতে হবে।
  2. অতিরিক্ত জামা কাপড় খুলে ফেলতে হবে এবং ফ্যানের নিচে নিয়ে জোরে বাতাস করতে হবে।
  3. সুতি কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।
  4. সম্ভব হলে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে।
  5. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।
পরিশেষেঃ বর্তমানে তীর্ব্র তাপ প্রবাহ চলছে। এই গরমে আমাদের অবশ্যই অধিক সতর্ক হতে হবে।বিশেষ করে এত অধিক গরমে নানা ধরনের সমস্যা বা রোগ দেখা দিতে পারে। তাই আমদের কে নিয়ম কারুন মেনে চলতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় উপকরন (গরমে কোন বিপদ হলে সেগুলো যেন ব্যবহার করা যায়) সাথে রাখতে হবে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করা। কেননা অসাস্থ্যকর খাবার গ্রহনই নান ধরনের রোগ বালাই সৃষ্টি করে। 

আরো পড়ুনঃ


Next Post Previous Post