তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা/তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন-২০২৪

তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা/তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন-২০২৪। আসালামু আলাইকুম সুধি পাঠক পাঠিকা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অসিম কিপায় ভালো আছেন।আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো তুলসী পাতা খেলে কি উপকার হয়।এবং প্রাকৃতিক এই তুলসী পাতার মধ্যে কি কি ঔষধি গুনাগুন রয়েছে।

তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা/তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন-২০২৪


ভূমিকাঃতুলসী অর্থ যার তুলনা নাই।তুলসী একটি ঔষধি গাছ।এটি সুগন্ধি যুক্ত,ক্টু তিক্তরস,রুচিকর। এটি সর্দি,কাশি,কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যো  যেমন রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক।

ব্যবহারঃ আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের সর্দি কাশিতে তুলসী পাতার রস ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে কয়েকটি তাজা তুলসী পাতার রসের সাথে একটু আদা ও মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।বাচ্চাদের সর্দি কাশিতে এটি বেশ ফলপ্রদ। তাজা তুলসী পাতার রস মধু,আদা ও পিয়াজের রসের সাথে মিশিয়ে পান করলে সর্দি বের হয়ে যায় এবং হাপানিতে আরাম হয়।

তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন ও উপকারিতাঃ

  • পেট কামড়ানো ও কাশিঃতুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ালে বাচ্চাদের পেট কামড়ানো, কাশি ও লিভার দোষে উপকার পাওয়া যায়।
  • ঘামাচি ও চুলকানিঃ তুলসী পাতা দূর্বার ডগা বেটে গায়ে মাখলে ঘামাচি ও চুলকানি ভাল হয়।
  • দাদ ও অন্যান্য চর্মরোগঃস্থায়ীভাবে তুলসী পাতার রস দাদ ও অন্যান্য চর্মরোগে ব্যবহার করলে বেশ ভালো উকপার পাওয়া জায়।পাতার রস ফোঁটা ফোঁটা করে কানে দিলে কানের ব্যাথা সেরে যায়।
  • ম্যালেরিয়াঃ পাতা ও শিকড়ের কাথ ম্যালেরিয়া জ্বরের জন্য বেশ উপকারী। ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে প্রতিদিন সকালে গোল মরিচের সাথে তুলসী পাতার রস খেতে দিতে হয়। যত দিন সম্ভব খাওয়া যায়।
  • বসন্ত, হামঃ বসন্ত, হাম প্রভৃতির পুজ ঠিকমত বের না হলে তুলসী পাতার রস খেলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসবে।
  • ক্রিমিঃ তুলসী পাতার রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ক্রিমি রোগের বেশ উপকার হয়।শুষ্ক তুলসী পাতা কাথ সর্দি, স্বরভঙ্গ, রক্ষপ্রদাহ,উদারাময় প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে কাজ করে থাকে।
  • পেট ব্যাথাঃ অজীর্ণজনিত পেটে ব্যাথায় তুলসী পাতা বেশ উপকার সাধন করে।এটি হজম কারক। প্রতিদিন প্রায় ১৮০ গ্রাম পরিমাণ তুলসী পাতার রস খেলে পুরাতন জ্বর,রক্তক্ষয়, আমাশয়,রক্ত অর্শ এবং অজীর্ণ রোগ সেরে যায়।
  • বাত ব্যাথাঃ বাত ব্যাথার আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার রসে ন্যাকড়া ভিজিয়ে পট্টি দিলে তা সেরে যায়।
  • কীট পতঙ্গ কামড়ালেঃবিষাক্ত কীট পতঙ্গ কামড়ালে ঐ স্থানে তুলসী পাতার রস গরম করে লাগালে জ্বালা যন্ত্রণা কম হয়।
  • সর্দিঃ যারা সহজেই সর্দিতে আক্রান্ত হয় ( বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে) তারা প্রতিদিন ৫ ফোঁটা মধুর সাথে ১০ ফোঁটা তুলসির রস খেলে সর্দি প্রবণতা দূর হয়।
  • প্রসাব জনিত জ্বালাঃ তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়।এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মতো করে খেলে প্রসাবজনিত জ্বালা যন্ত্রণার বিশেষ উপকার হয়।
  • কালো দাগঃ মুখে কালো দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে জায়।হামের পর যে সব শিশুর শরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
পরিশেষেঃ তুলসী মূল শুষ্ক গাঢ কারক এবং বাজীকারক। তলসী পাতার ক্বাথ, এলাচগুড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরি পান করলে ধাতু পুষ্টি সাধিত হয় যত দিন সম্ভব খাওয়া জায়।এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক।প্রতিদিন তুলসী গাছের শীকড় পানের সাথে খেলে যৌন দূর্বলতা রোগ সেরে যায়। কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসী পাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা জায়।তুলসী চা হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয়।

আরো পরুনঃ

আমলকীর পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন

পালং শাকের পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন

মিষ্টিআলুর পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন

দুধ চা পানের অপকারিতা

Next Post Previous Post